সূর্যোদয়ের পূর্বেই সোমবার পাঞ্জাবের পাঠানকোট এলাকায় গ্রেনেড বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের শব্দে এলাকায় ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেনাঘাঁটির ত্রিবেণী গেটের পাশেই গ্রেনেড বিস্ফোরণ হয়। খবর পেয়ে সেনা ও পুলিশের কর্তারাও আসেন। কীভাবে এই গ্রেনেড বিস্ফোরণ, তার তদন্ত শুরু হয়েছে । পাঠানকোটের পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ওই এলাকার সিসিটিভ ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে ।তবে এইঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর নেই।বিস্ফোরণের পর সংশ্লিষ্ট এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।জারি করা হয়েছে হাই এলার্ড।
উল্লেখ্য,২০১৬ সালের ২ জানুয়ারি এই পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে চলতে থাকা গুলির লড়াইয়ে মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়। মৃত্যু হয় ৬ হামলাকারীর।
প্রসঙ্গত সংশ্লিষ্ট এলাকায় গত কয়েক মাস আগে ড্রোন উড়তে দেখা গিয়েছিল। সাথে সাঠে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা গুলি চালাতেই ড্রোনটি অদৃশ্য হয়ে যায়। এছাড়া গত জুলাই মাসেও রহস্যজনকভাবে একটি বেলুন উড়তে দেখা গিয়েছে পাঠানকোট এলাকায়।
এই অবস্থায় এদিনকার ঘটনাকে মোটেও হালকাভাবে নিচ্ছেনা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। সোমবারের গ্রেনেড হামলার নেপথ্যে নাশকতার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।